রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, লাল রং এর আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যিক পথ বা রুট : এ পথ বা রুটেই ইসরাইলী সামুদ্রিক বাণিজ্যিক জাহাজসমূহ চলাচল ও যাতায়াত করে আসছে যা হচ্ছে খুবই সংক্ষিপ্ত ও অতি নাতিদীর্ঘ সামুদ্রিক বাণিজ্যিক পথ ও রুট !
কালো রং এর সামুদ্রিক বাণিজ্যিক পথ বা রুট : এখন এই বিশাল সুদীর্ঘ সামুদ্রিক পথ বা রুটে দুর্ভাগা ইসরাইলী সামুদ্রিক বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে যাতায়াত ও চলাচল করত হবে !! ( এখন পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে ও চক্কর দিয়ে ইসরাইলী জাহাজ ও বিদেশী জাহাজসমূহকে ইসরাইলের বন্দর সমূহে পৌঁছাতে হবে । এতে করে ইসরাইলের আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ও বাণিজ্যে অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যাবে । ফলে ইসরাইলের জন্য পরিবহন ব্যায় ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ অনেক বৃদ্ধি পাবে! আর এ অবস্থা প্রতিরোধ বীর সংগ্রামী ইয়ামানী মুজাহিদ যোদ্ধারা ইসরাইলের ওপর আরোপ করেছে গাযায় ইসরাইলের অন্যায় আগ্রাসন , গণহত্যা , প্রজন্ম হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ সহ নানা ধরনের যুদ্ধাপরাধ করার প্রতিবাদে । ইয়ামানের পাশে অবস্থিত বাবুল মান্দাব প্রণালী আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ যা এখন ইসরাইলী সামুদ্রিক বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের যাতায়াত ও চলাচলের জন্য আর নিরাপদ নয় ।
যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী অমানুষ বর্বর অসভ্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ ধরনের উপযুক্ত যথার্থ সময়োচিত শাস্তিমূলক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অকুতভয় বীর সাহসী ইয়ামানী প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
এখন ইসরাইল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে গাযাবাসীদের ওপর দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে জলে স্থলে অন্তরিক্ষে সে যে অত্যন্ত কঠোর প্রাণান্ত কর বর্বর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে তার মজাটা ! ইসরাইল ও পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরার [ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ] বিশ্ব জুড়ে যা ইচ্ছা তা করার দিন শেষ হয়ে আসছে !!! স্মর্তব্য যে পূর্ব পশ্চিম বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য পারস্য উপসাগরের হোর্মোয প্রণালী ( বিশ্বের এনার্জির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুট ) , বাবুল মান্দাব প্রণালী এবং সুয়েজ ক্যানাল অতি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাণকেন্দ্র স্বরূপ । আর সৌভাগ্য ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ এ তিন প্রণালী ও চ্যানেল মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্রেই অবস্থিত। তাই মুসলিম বিশ্ব সমগ্র বিশ্বের ব্যবসায় বাণিজ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ তিন প্রণালী ও চ্যানেলের ওপর সামরিক রাজনৈতিক কর্তৃত্ব মানেই গোটা বিশ্বের ওপর সামরিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য ও কর্তৃত্ব। আর একারণেই ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র পশ্চিম এশিয়ায় (মধ্যপ্রাচ্য) ফিলিস্তীন ভূখণ্ডে পশ্চিমারা বিশেষ করে যুরা (যুক্তরাজ্য) , ফ্রান্স ও মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) দুষ্টু ক্ষত ও ক্যান্সারের বিষফোঁড়ার মতো কৃত্রিম মেকি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা করেছে যার ফলে পাশ্চাত্য বিশেষ করে মাযুরা ও যুরা সমগ্র বিশ্ব বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক এনার্জি ( জ্বালানী ) উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সমর্থ হয় । আসলে ইসরাইল হচ্ছে পাশ্চাত্যের সামরিক দুর্গ এ অঞ্চল সহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ।
ইসরাইল নামক মেকি কৃত্রিম সামরিক দখলদার হানাদার আগ্রাসী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রর প্রতিষ্ঠা আসলে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ক্রুসেড যুদ্ধের সম্প্রসারিত নয়া রূপ। আর এ রাষ্ট্রটি যতদিন আছে ততদিন মুসলিম বিশ্ব সহ গোটা বিশ্ব শান্তি ও স্বস্তির মুখ দেখবে না বরং শান্তি হবে সুদূর পরাহত । তাই এ রাষ্ট্রের পতন খুবই কাম্য । আর সৌভাগ্য ক্রমে ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামাসের নেতৃত্বে সফল তূফানুল আকসা অভিযানের মাধ্যমে এ মেকি সন্ত্রাসী যালেম বর্ণবৈষম্যবাদী রাষ্ট্রটি অতিদ্রুত পতন ও বিলুপ্তির দিকে ধাবিত ও অগ্রসর হচ্ছে ।
যাহোক , মিসরের সুয়েজ খালকে অকার্যকর করে আকাবা উপসাগরের পারে অবস্থিত ইলাত ( উম্মুর রাশরাশ ) বন্দর থেকে ইসরাইলের ভেতর দিয়ে উত্তর গাযা এবং হাইফা বন্দর পর্যন্ত অল্টারনেটিভ বেন গুরিওন প্রণালী স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে মাযুরা বিগত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে। এ প্রণালী নির্মাণের জন্য ৫২০ টি পারমাণবিক বোমা দরকার। আর এটা করলে সম্পূর্ণ গাযা ভূখণ্ড ধ্বংস হয়ে যাবে । আর এই বেন গুরিওন খাল বা প্রণালী বাস্তবায়ন করতে পারলে বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতি পাশ্চাত্য ও ইসরাইলের হাতের মুঠোয় সর্বদা থাকবে !
তাই গাযা জনশূন্য করার এত তাগিদ অপরাধী ইসরাইল , মাযুরা , যুরা, ফ্রান্স, জার্মানি সহ গোটা পশ্চিমা বিশ্বের। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক খাদ্য করিডোর যা ভারতের মুম্বাই থেকে সমুদ্র পথে আরব আমিরাত এবং সেখান থেকে স্থল পথে সৌদি আরবের ভেতর দিয়ে জর্দান হয়ে ইসরাইলের মধ্য দিয়ে গাযার বন্দরে গিয়ে ভূমধ্য সাগরের পারে গিয়ে উন্মুক্ত ও শেষ হবে তা [ আন্তর্জাতিক হিন্দু ( ইন্দো ) - আরবী - ইব্রী ( ইসরাইলী ) - ঘার্বী ( পশ্চিমা ) খাদ্য ( ফুড ) করিডোর ] নির্মাণ ও চালু করার জন্যও গাযা জনশূন্য করা ( Gaza depopulation plan and project ) দরকার ও অপরিহার্য হয়ে পড়েছে মানবতার শত্রু ইসরাইল ও পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরা , যুরা, ফ্রান্স গং এর কাছে।
তাই গাযায় এ যুদ্ধ । আসলে গাযাবাসীরা মুসলিম বিশ্ব ও গোটাবিশ্ববাসীর স্বার্থে লুটেরা পশ্চিমা যায়নবাদী ( মাযুরা -যুরা - ইসরাইল ) অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে লড়ছে যাতে এ ধরনের সর্বনাশা প্রোজেক্ট বাস্তবায়িত না হয় । )